Friday, May 22, 2009

Accupresure --Part 03. অ্যাকিউপ্রেশার চিকিৎসা : সফলতা ও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি - ৩

ফেঞ্চুগঞ্জ সারখানা ৪৮ বছর ধরে চলছে। নির্মাণের পর জাপান থেকে ইঞ্জিনীয়ার এনে কয়েকবার এ কারখানা মেরামত করা হয়েছে। দেশের ইঞ্জিনীয়ার/টেকনিশয়ানরা তো প্রতি বছর/প্রতিদিন মেরামত করছেন। বার্ষিক মেরামত তো নির্ধারিতভাবে আছেই। তারপরও হঠাৎ বিকল, হঠাৎ বন্ধ চলছেই। উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবার ঘটনা ঘটছেই। কিন্তু মানব দেহের যন্ত্রাংশের সংখ্যা এই কারখানার চেয়ে কম নয়। সবগুলো যন্ত্রপাতির কাজও প্রায় একই রকম। এসব কোমল এবং শক্তিশালী শারিরীক যন্ত্রগুলো ১০০ বছর ধরে নিরবিচ্ছিন্ন ও অবিশ্বাস্য রকম পারস্পরিক সমন্বয়ের সাথে কাজ করছে। এ মানব শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেই নিজের রোগ নিরাময় করতে সম। অ্যাকিউপ্রেশার এ রোগ নিরাময় বিষয়ে শরীরকে সহায়তা করে এবং সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ও এন্ডোক্রিন গ্ল্যান্ডগুলোকে (অন্তঃস্রাবী অনালগ্রন্হি) যথাযথ সক্রিয় রাখে, যার ফলে আমরা নিখুঁত স্বাস্হের অধিকারী হই। অ্যাকিউপ্রেশার চিকিৎসা বা অন্যান্য প্রাকৃতিক চিকিৎসা শিখে নেয়া খুবই সহজ। স্বল্প সময়ে শিখে নিয়ে ১০ বছরের শিশুও অ্যাকিউপ্রেশার চিকিৎসা করতে পারবে। অ্যাকিউপ্রেশার প্রাথমিক প্রশিক্ষণ খুব দীর্ঘ ও জটিল নয়। সপ্তাহে ২দিন দুই থেকে তিন ঘন্টা ক্লাস সর্বমোট ৩ সপ্তাহ। অর্থাৎ ২ থেকে ৩ ঘন্টার ৬টি ক্লাস। এ প্রশিক্ষণে ৩৮টা বিন্দুর সাথে পরিচয়, বিন্দুগুলোতে চাপ দেয়ার কৌশল, খাদ্যভ্যাস পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি শেখানো হয় এবং প্রতিটি ক্লাসের লেকচার শীট এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিত্র সরবরাহ করা হয়।

আমার ১ম অ্যাকিউপ্রেশার বিষয়ক লেখা ছাপার পর আমার কাছে পাঠক মহলের অনুরোধ ছিল একটি সেমিনার করার। পর পর ২টা সেমিনার করেছি সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে।। পরবর্তীতে অনুরোধ ট্রেনিং এর ব্যবস্হা করার। ট্রেনিং সেন্টার খুলে ১ম ব্যাচে ২২জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ট্রেনিং দেয়া হয়েছে। ২০/৩০ জন ভর্তি হয়ে গেলে ২য় ব্যাচ আগামী মাসের ১ম সপ্তাহে একই স্হানে শুরু করা যাবে। এখন অনেকেই বিশেষভাবে অনুরোধ করছেন চিকিৎসা কেন্দ্র খোলার জন্য। এ প্রসঙ্গে আমার বক্তব্য হচ্ছে, আমার একার পক্ষে চিকিৎসা কেন্দ্র আপাততঃ খোলা সম্ভব হবেনা, স্হানেরও অভাব। লোকবল তৈরীর চেষ্টা চলছে। দক্ষ লোক তৈরী হলে অবশ্যই চিকিৎসা কেন্দ্র খোলা হবে। দক্ষতা অর্জন সময়ের ব্যাপার। তারপরও চিকিৎসা যে চলছেনা তা নয়। যারা আমার কাছে আসেন, যে রোগ নিয়ে, যতটুকু জানি তাৎক্ষনিকভাবে হাতে কলমে শিখিয়ে দিচ্ছি -- নিজেও চিকিৎসা দিচ্ছি। যখন কোন রোগী বলেন, ”ভাল হয়ে গেছি” তখন খুব ভাল লাগে, আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি। ডাক্তারও না, কবিরাজও না বিজ্ঞানের ছাত্রও ছিলামনা -তারপরও বিনা ঔষধে আমার চিকিৎসার উসিলায় রোগ ভাল হয়ে যায় – আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা ছাড়া কোন উপায় নেই। আলহামদুলিল্লাহ্ ।

লেখক : সাংবাদিক
পরিচালক : অ্যাকিউপ্রেশার ট্রেনিং সেন্টার
যোগাযোগ-০১৭১২৯৭৯২৬৪

No comments: